দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে শুভ সূচনা করল বাংলাদেশ

কয়েকদিন আগে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাটিতে তাদের সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। এবার জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রোটিয়াদের সামনে সুযোগ ছিল প্রতিশোধ নেওয়ার। কিন্তু বোলিংয়ে উল্টো তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও ব্যাটিংয়ে ভুগেছে জাওয়াদ-তামিমরা। তবে শেষ পর্যন্ত জয় তুলেছে টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করেছে যুব টাইগাররা।
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব- ১৯ দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুটিয়ে যায় ৩৪.৪ ওভারেই। স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ১২৮ রান। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮.৪ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব- ১৯ দল।
১২৯ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১.৪ ওভারেই ওপেনিং জুটিতে উঠেছিল ২১ রান। কিন্তু এরপরই ব্যাটিং ধসে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ৩৮ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট। দ্রুতই ফিরে যান রিফাত বেগ, রিজান হোসেন ও আজিজুল তামিমরা।
৫৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে আল ফাহাদকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন রাতুল। তাতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। বাকিদের যাওয়া-আসার ভীরে একপ্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন রাতুল। ৩৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আল ফাহাদের পেস আগুনে পুড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডানহাতি এই পেসারকে সামলানোর কোনো উপায় খুঁজে পায়নি প্রোটিয়ারা। তার বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে প্রোটিয়াদের। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। গুটিয়ে যায় ১২৮ রানে।
১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন ফাহাদ। ব্যাটিংয়ের মতো বল হাতেও আলো ছড়িয়েছেন রাতুল। শিকার করেছেন ২ উইকেট। তার মতোই দুটি উইকেট পেয়েছেন স্পিনার স্বাধীন ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক আজিজুল তামিম ও ইকবাল হোসাইন জীবন।