যাত্রীভাড়া থেকে ৭ ডলার চুরি করে ৮৪ হাজার ডলার জরিমানা চালকের!

জাপানের এক বাসচালক যাত্রীদের ভাড়া থেকে সাত ডলার চুরি করার কারণে তাকে ৮৪ হাজার ডলার জরিমানা গুণতে হয়েছে। একই সঙ্গে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ওই চালককে। খবর এএফপির।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়িচালক ২৯ বছর ধরে একটি কোম্পানির যাত্রীবাহী বাস চালাতেন। ২০২২ সালে এক হাজার ইয়েন (সাত ডলার) চুরি করার সময় তার বাসের নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে কিয়োটো সিটি ওই চালককে বরখাস্ত করে।
ওই বাসচালক এক কোটি ২০ লাখ ইয়েনেরও বেশি (৮৪ হাজার ডলার) অর্থ হারানোর পর শহর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে হেরে যান। তার পক্ষে উল্টো রায় দেওয়া হয়। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, শাস্তি আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট শহর কর্তৃপক্ষের পক্ষে চূড়ান্ত রায় দিয়ে মূল জরিমানা পুনর্বহাল করে।
রায়ে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির আচরণ বাস ব্যবস্থা এবং বাস পরিষেবার সুষ্ঠু পরিচালনার প্রতি জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করতে পারে।
রায় অনুসারে মূল ঘটনায় পাঁচ জন যাত্রীর একটি দল বাসে উঠে চালককে এক হাজার ১৫০ ইয়েন দেয়। কিন্তু চালক পাঁচ জনকে ১৫০ ইয়েন মূল্যের কয়েন ভাড়া সংগ্রহের বাক্সে ফেলতে নির্দেশ দিয়ে অবশিষ্ট এক হাজার ইয়েনের বিল হাতে নিয়ে সঠিকভাবে রিপোর্ট করেননি।
ক্যামেরায় ধরা পড়া সত্ত্বেও ওই চালক তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের সময় তা অস্বীকার করার চেষ্টা করেছিলেন।
রায় অনুযায়ী বিভিন্ন ঘটনার জন্য চালককে তার কর্মজীবনে বেশ কয়েক দফা তিরস্কার করা হয়েছিল। এরমধ্যে ছিল ডিউটিতে থাকাকালীন বারবার ইলেকট্রনিক সিগারেট খাওয়া, যদিও বাসে কোনো যাত্রী ছিল না।
এদিকে কিয়োটো সিটি আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
কিয়োটোর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যুরোর এক কর্মকর্তা শিনিচি হিরাই এএফপি’কে বলেছেন, ‘প্রত্যেক বাস চালক একাই বাস পরিচালনা করে থাকেন। আমাদের কাজের এই ক্ষেত্রটির সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘যদি আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করি তাহলে আমাদের সংস্থা অসাবধান হয়ে পড়তে পারে এবং এর ফলে জনসাধারণের আস্থা নষ্ট হতে পারে।’