যেসব সুবিধা রয়েছে ট্রাম্পের জন্য কাতারের প্রস্তাবিত বিলাসবহুল জেটে

হোয়াইট হাউস এবং কাতার রাজপরিবার একটি বিলাসবহুল জাম্বো জেট হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যা সাময়িকভাবে এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে বলে জানা গেছে। কাতার সরকার জানিয়েছে, এই উড়োজাহাজটি উপহার নয় বরং “সাময়িক ব্যবহারের” জন্য হস্তান্তরের আলোচনা চলছে।
এরই মধ্যে বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমানের অভ্যন্তরীণ গঠন ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজের
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে প্রকাশিত উড়োজাহাজটির রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সঙ্গে চলতি বছরের শুরুতে পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় তোলা ছবির উড়োজাহাজের সঙ্গে মিল রয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট নম্বরটি ২০২০ সালে বিক্রয়ের জন্য তালিকাভুক্ত একটি বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমানের সিরিয়াল নম্বরের সাথেও মিলে যায়।
যদিও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এএমএসি এরোস্পেসের ওয়েবসাইট থেকে বিমানটির তালিকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে, তথাপিও প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে এখনও একটি ১৬ পৃষ্ঠার 'এয়ারক্রাফট স্পেসিফিকেশন সামারি' পাওয়া যাচ্ছে। এতে রয়েছে বিমানের পূর্ণাঙ্গ অভ্যন্তরীণ নকশা, ব্যবহৃত ১০০টিরও বেশি যন্ত্রাংশের তালিকা ও প্রস্তুতকারকের নাম এবং বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ছবিসহ নানা বিবরণ।
আকাশে চলমান রাজপ্রাসাদের অভ্যন্তরে যা যা রয়েছে:
ডকুমেন্ট অনুযায়ী, অত্যাধুনিক এই বিমানে রয়েছে— একটি বিলাসবহুল আপার ডেক লাউঞ্জ, মাস্টার বেডরুম, একটি ক্লাব-স্টাইল সিটিং এরিয়া এবং একটি নিরিবিলি ব্যক্তিগত অফিস।
বিমানটিকে ‘আকাশের রাজপ্রাসাদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাম বিচে অবস্থানকালে নিজে বিমানটি পরিদর্শন করেন।
নিরাপত্তা ও কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া:
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের উপযোগী করতে এই বিমানটিতে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তামূলক পরিবর্তন আনতে হবে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা উদ্বেগ ও কাগজপত্র বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে, তারা ট্রাম্পের নিজস্ব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া তার বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে। সেখানে ট্রাম্প বলেন, “এই বিমান হস্তান্তর একটি অত্যন্ত প্রকাশ্য ও স্বচ্ছ লেনদেন।”
উল্লেখ্য, বিমানটির টেইল নম্বরে থাকা “এইচবিজে” অক্ষরসমষ্টি কাতারের একজন শীর্ষ রাজপরিবারের সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম আল থানির নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে পরিচিত। তিনি ২০১৮ সালে মার-আ-লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন।

এখনও নিশ্চিত নয়, অনলাইনে পাওয়া অভ্যন্তরীণ নকশাটি পরিবর্তিত হয়েছে কি না কিংবা বিমানে কোনো রকম বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন আনা হয়েছে কি না। তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রটোকল অনুযায়ী, যেকোনো প্রেসিডেন্সিয়াল বিমানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রযুক্তিগত সংযোজন বাধ্যতামূলক।