দিল্লিতে চারতলা ভবন ধস, বহু হতাহতের আশঙ্কা

উত্তর-পূর্ব দিল্লির ওয়েলকাম এরিয়ায় একটি চারতলা ভবন ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কয়েকজন আটকা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ৭টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। ভবন ধসের কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। খবর এনডিটিভির।
এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ মাস বয়সী আহমেদ নামের এক শিশু, চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন। প্রাপ্তবয়স্কদের জেপিসি হাসপাতালে পাঠানো হলেও শিশুটিকে জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভবনটিতে ১০ জনের একটি পরিবার থাকত।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘সকাল ৭টায় ভবন ধসের খবর পেয়েছি। সাতটি দমকল কর্মীসহ একাধিক দল কাজ করছে। আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।’
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ও লোকজনকে উদ্ধারে স্থানীয়রাও কাজ করছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে আমি আমার বাড়িতে ছিলাম, তখনই একটা বিকট শব্দ শুনতে পেলাম ও ধুলোবালি ভেসে গেল। যখন আমি নিচে নেমে এলাম, তখন দেখলাম আমাদের প্রতিবেশীর বাড়ি ভেঙে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি না কতজন আটকা পড়েছেন, তবে সেখানে ১০ জনের একটি পরিবার থাকে, তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
ভবন ধসের সময় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা সকালের হাঁটার জন্য বাইরে বেরিয়েছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সকালের হাঁটার সময় থাকা কয়েকজন ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
এক বিবৃতিতে দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অতুল গর্গ জানান, সিলামপুরের ইদগাহ রোডের কাছে জনতা কলোনির ৫ নম্বর গলিতে একটি ভবন ধসে পড়েছে।

উল্লেখ্য, এপ্রিলের শুরুতে দিল্লির মুস্তাফাবাদে একটি চারতলা ভবন ধসের পর কমপক্ষে চারজন নিহত ও ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। একজন কর্মকর্তা সেই ধসকে ‘প্যানকেক ধস’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছিলেন, সেখানে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।