ইউরোপ-এশিয়াকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ম্যাক্রোঁর

ইউরোপ ও এশিয়াকে একটি নীতিনির্ভর জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভাজনকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ার প্রধান প্রতিরক্ষা ফোরামের সংম্মেলন ‘শাংগ্রি-লা সংলাপে’ এসব কথা বলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে বলেন, ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোর উচিত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মিত্রতা ও চীনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে ম্যাক্রোঁ বলেন,‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও মিত্র এবং চীনেরও বন্ধু। আমরা তাদের (দুই দেশ) সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করি, যদিও কখনও কখনও আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ও প্রতিযোগিতা থাকে। এই দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন,‘এশিয়া ও ইউরোপের বিশ্ব ব্যবস্থার বিভাজন রোধে অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। অ-সংযুক্ততার সময় নিঃসন্দেহে পেরিয়ে গেছে, কিন্তু কার্যনির্বাহী জোটের সময় এসেছে। এর জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সক্ষম দেশগুলোকে সমস্ত উপায় অবলম্বন করতে হবে।’

এই সফরের মাধ্যমে ম্যাক্রোঁ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার বার্তা দিয়েছেন। এর লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রভাবের বাইরে একটি স্বাধীন কৌশলগত অবস্থান গঠন করা।
ম্যাক্রোঁর এই আহ্বান ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে একটি নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।