রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্তের কাছে মহাসড়কের সেতু ধসে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ওপর পড়ে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩১ জন। গতকাল শনিবার (৩১ মে) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে সেতুটি ধসে পড়লে একাধিক ভারী ট্রাক ট্রেনের ওপর আছড়ে পড়ে। রাশিয়ার জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ট্রেনে থাকা যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার ও রেসকিউ ইউনিট। খবর বিবিসির। 

টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে মস্কো রেলওয়ে দাবি করেছে, “পরিবহন ব্যবস্থায় অবৈধ হস্তক্ষেপের” কারণে সেতুটি ধসে পড়েছে।

ব্রায়ানস্কের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন শিশুসহ দুজনের অবস্থা গুরুতর।”

আলেকজান্ডার বোগোমাজ জানান, সব আহত যাত্রীকে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

মস্কোর আন্তঃআঞ্চলিক পরিবহন প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

শনিবার রাতে সেতুটি ধসে পড়লে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রেনের বগি এবং যাত্রীরা একে অপরকে সহযোগিতা করে ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসছেন।

রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, অতিরিক্ত উদ্ধারকর্মী, সরঞ্জাম ও রাতে কাজের জন্য আলো সরবরাহকারী যন্ত্রপাতি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

ক্লিমোভো শহর থেকে মস্কোগামী ট্রেনটি ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের ভিগোনিচস্কি জেলায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

মস্কো রেলওয়ে জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তারা কাছের একটি স্টেশনে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে “বিশেষভাবে প্রস্তুত একটি রিজার্ভ ট্রেন” তাদের মস্কো পৌঁছে দেবে।

ঘটনাস্থলটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার (প্রায় ৬২ মাইল) দূরে অবস্থিত।