বিমান বিধ্বস্তের সময় স্কুল ছুটি থাকায় হতাহত কম : মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ

রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দেওয়া এই বিবৃতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান বিধ্বস্তের সময় স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী অভিভাবকের জন্য অপেক্ষা করছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, আনুমানিক দুপুর ১টা ১২ মিনিট থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টায় স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল, তাই সেই মুহূর্তে কেবল স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের জন্য অপেক্ষা করছিল।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মোট ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে স্কুলের ১৯ জন শিক্ষার্থী, দুজন শিক্ষক এবং দুজন অভিভাবক রয়েছেন। এছাড়া, ৫১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী, সাতজন শিক্ষক, একজন অভিভাবক, একজন আয়া এবং একজন পিয়ন রয়েছেন। বাকি একজনের পরিচয় বিবৃতিতে জানানো হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী ও দুজন অভিভাবক।
সরকারের দেওয়া নিহতদের তালিকার সঙ্গে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষের তালিকার অমিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি তাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের তালিকা। এর বাইরে কেউ থাকতে পারে, সেটি তারা বিবেচনা করেননি। তারা সবার সঙ্গে কথা বলে তথ্য নিয়েই এই তালিকা প্রকাশ করেছেন। হতাহতের তথ্য হালনাগাদের কাজ চলমান রয়েছে বলেও মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এর ধারাবাহিকতায় হতাহত ও নিখোঁজের তথ্য জানানো হয়েছে।
মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আহতদের উন্নত ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসা ও সেবা কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একটি জরুরি সেলও গঠন করেছে।